Click On Ads

Ticker

6/recent/ticker-posts

দিঘীনালা বন বিহার Dighinala Bana Bihar

যেভাবে যাবেন দিঘীনালা বন বিহারেঃ
খাগড়াছড়ি থেকে যদি দিঘীনালায় আসেন তাহলে আসার পথেই আপনি দিঘীনালা বন বিহারটি দেখতে পাবেন। অথবা দিঘীনালা বাস স্টেশন থেকে অটো যোগেও আসতে পারেন । অটোর ‍ভাড়া ৫ টাকা।

ছবিঃদিঘীনালা বন বিহার।


কিছু নিয়মঃ
দিঘীনালা বন বিহারের মেইন গেইট পার হওয়ার পর কিছু নিয়ম আপনার চোখে পড়বে। যে কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই কিছু নিয়ম-কানুন পালন করতে হয়। জুতা পায়ে প্রবেশ না করা। মাথায় টুপি দেওয়া অবস্থায় প্রবেশ না করা ইত্যাদি। আমরা যেই ধর্ম পালন করিনা কেন আমাদের প্রত্যেকের উচিত প্রতিটি ধর্মকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা। 


বিস্তারিতঃ
দিঘীনালা বন বিহারটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্টা করা হয়। বন বিহারটির মোট জায়গার পরিমাণ ১০ হতে ১২ একর। বন বিহারটি প্রায় বিভিন্ন গাছ দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। এই বিহারে আসলে মানুষের মন পবিত্র হয়ে উঠে। চারিদিকে সবুজ গাছের বেষ্টনি দেখে আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে। নির্জন ,ঠান্ডা ও পবিত্র এই বিহারে প্রতিনিয়ত বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারিরা মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালিয়ে বুদ্ধকে ও ভান্তে শ্রামণদের বন্দনা করে মন পবিত্র করে নেয় ও পূণ্য অর্জন কর।
    বিহারে রয়েছে ২৩ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বড় বুদ্ধ মুর্তী। এই বুদ্ধ মুর্তী দেখলে মন গভীর থেকে ভক্তি ও শ্রদ্ধায় ভরে উঠে এবং গভীর থেকে মন পবিত্র হয়ে যায়। বৌদ্ধ অনুসারিরা এই বুদ্ধ মুর্তীকে সকাল বিকাল মোম জ্বালিয়ে পুজা ও বন্দনার মাধ্যমে পূণ্য সঞ্চয় করে থাকে। এই বিহারে আরো রয়েছে শ্রদ্ধেয় বনভান্তের প্রতিমুর্তী এবং শ্রদ্ধেয় নন্দপাল ভান্তের প্রতিমুর্তী। 


ছবিঃ ২৩ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বুদ্ধ মুর্তী।


আরো রয়েছে শ্রদ্ধেয় শীবলি মহাস্থবিরের মুর্তী। রয়েছে পুজনীয় ভিক্ষু শ্রামণদের আবাসিক ভবন সহ ভোজনশালা। এবং পুজনীয় সাধুমাদের আবাসিক ভবন। শ্রদ্ধেয় নন্দপাল ভান্তের জন্য রয়েছে আলাদা আবাসিক ভবন।
    এখানে আপনি আরো দেখতে পাবেন ভিক্ষু শ্রামণদের ধ্যান সাধনার জন্য নির্দীষ্ট নির্জন জায়গা। এই জায়গাটি খুব শীতল এবং নির্জন। চারপাশে বিভিন্ন পাখির ডাকে মন শান্ত হয়ে উঠে। বিহার এলাকায় থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো ছায়া দিয়ে চলেছে অবিরাম। পাখিগুলোর কিচিরমিচির ডাকে এই বিহারটি আরো বেশী শ্রদ্ধার গভীরতা বাড়িয়ে দেয়। মন ভরে উঠে আনন্দে ও পবিত্রতায়। বিহারটির সীমানার বাইরের চারপাশে রয়েছে বুদ্ধ ধর্মানুসারীদের গ্রাম। 
    প্রতি বছর এই বিহারে কঠিন চিবর দান অনুষ্ঠানে অনেক দুর থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এখানে কঠিন চিবর দান করতে আসে। এবং কঠিন চিবর দানের মাধ্যমে তাঁরা পূণ্য অর্জন করে নেয়। তিন দিন ব্যাপি এই কঠিন চিবর দান অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ